“দশ দিনের জন্য সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছি। কিন্তু ৫ দিনের মধ্যে মাছে ট্রলার ভরে যাওয়া তা বিক্রির জন্য ফিশারী ঘাটে ফিরে এসেছি। এবার ১০ মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ মাছ পেয়েছি। যা শতে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করছি। এখন খুবই ভাল লাগছে; যেন ৬৫ দিন, ২২ দিন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সাগরে মাছ শিকারে যেতে না পারার কষ্ট ভুলে যাচ্ছি।”
এফবি কোহিনুর; সাগরে মাছ শিকার শেষে ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ভিড়ল। আর ট্রলার থেকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পল্টনে বিক্রির জন্য ঝুঁড়িতে রাখা হচ্ছে ইলিশ। যা দেখে মুখে হাসি ওই ট্রলারের মাঝি আইয়ুব আলীর।
“গত কয়েকবছর ধরে সাগরে মাছের পরিমাণ তেমন ছিল না। সারাদিন সাগরে জাল ফেলেও মাছের দেখা মিল তো না। কিন্তু এখন সাগরে মাছের পরিমাণ বেড়েছে এবং সাইজেও অনেক বড়।
যখন ট্রলার থেকে দু’হাতে বিক্রির জন্য ঝুঁড়িতে রাখছে ইলিশ; তখন আনন্দে ঝলমল করছে কক্সবাজার উপকূলের জেলে আব্দুল হাই’র দু’চোখ। এই দৃশ্যের দেখা মিলে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের জেটিঘাটে।
ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আর বড় বড় সামুদ্রিক মাছ সুরমা, রিটা ও টুনা। সাগরে জাল ফেলতেই ধরা পড়ছে এসব সামুদ্রিক মাছ। যা বিক্রির জন্য কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের জেটি ঘাটে ফিরছে জেলেরা।
© 2025 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.